Elephant attack: হাতির তাণ্ডব থেকে বাঁচতে পুকুরে ঝাঁপ দিতেই নিখোঁজ ব্যক্তি, দিনভর মিলল না খোঁজ

ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে হাতির তাণ্ডব অব্যহত রয়েছে। তার জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন গ্রামের সাধারণ মানুষ। দাঁতালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি। তাছাড়া, হাতির হামলাও বাড়ছে। যার জেরে কার্যত আতঙ্কে রয়েছে মানুষজন। এই অবস্থায় হাতির মুখোমুখি হয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, তারপর থেকেই ওই ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। ওই ব্যক্তির নাম পরীক্ষিত মাহাতো। ঘটনাটি ঘটেছে বড় চাঁদিবালা গ্রামে।

আরও পড়ুন: হাতির তাণ্ডবে কোচবিহারে মৃত্যু ৪ গ্রামবাসীর, বনদফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ

জানা গিয়েছে, শনিবার রাত্রি ৯ টা নাগাদ প্রায় ২৫ টি হাতি বড় চাঁদাবিলা গ্রামে তাণ্ডব চালায়। তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বহু ধান জমি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধানের জমির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মাঠে গিয়েছিলেন পরীক্ষিত মাহাতো। সেই সময় তাঁর সামনে চলে আসে হাতির দল। তখনই প্রাণ বাঁচাতে তিনি পাশের একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। যদিও তাঁকে পুকুরে ঝাঁপ দিতে কেউ দেখেননি। তবে তাঁর গায়ের চাদর, গামছা এবং টর্চ লাইট পুকুরের পাড় থেকে উদ্ধার হয়েছে। ফলে গ্রামবাসীদের অনুমান, তিনি পুকুরের জলে ঝাঁপ দিয়েছিলেন। তার পর থেকেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। আজ সকাল থেকেই গ্রামের মানুষজন ওই পুকুরে পরীক্ষিতকে খুঁজতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, এনিয়ে বারবার বনদফতরকে খবর দিলেও তাদের তরফে কোনও সহযোগিতা পাননি গ্রামের বাসিন্দারা। তাই গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে পুকুরে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন।

স্থনীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় প্রায়ই হাতি তাণ্ডব চালায়। তার ফলে বিঘার পর বিঘা ফসল নষ্ট হয়। এদিন হাতির তাণ্ডবে ধানের জমির পাশাপাশি প্রচুর সবজি নষ্ট হয়েছে। তা দেখতে মাঠে গিয়েছিলেন পরীক্ষিত মাহাতো। পুষ্পেন্দু মাহাতো নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার অভিযোগ, হাতির তাণ্ডব থেকে রেহাই পেতে বন দফতরের কাছে একাধিবার তারা আবেদন জানিয়েছেন। তা সত্ত্বেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এমনকী চাষের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পরেও তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয় না। এ বিষয়ে তারা ক্ষতিপূরণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, শুক্রবার কোচবিহারে হাতির হানায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম হল রেখারানি রায় (৬৮), জয়ন্তী সরকার (৪৬), বুদ্ধেশ্বর অধিকারী (৬০) এবং আনন্দ প্রামাণিক (৪০)। এরমধ্যে বুদ্ধেশ্বর এবং আনন্দ মাথাভাঙ্গার পারাডুবি গ্রামের বাসিন্দা। বাকি দুজন ঘোকসাডাঙার উনিশবিশা গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার দুপুরে গ্রামের মাঠের জমিতে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন বুদ্ধেশ্বর অধিকারী। সেই সময় আচমকা হাতির হামলায় তার প্রাণ যায়। আনন্দ প্রামাণিকও মাঠে কাজ করছিলেন। সেই সময় আচমকা হাতির হামলায় তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, উনিশবিশা গ্রামে একটি হাতির দল ঢুকে পড়েছিল। বাজারে হামলা চালায় হাতির দল। সেই সময় ওই দুই মহিলাকে হাতি পিষে দেয়।