Female militants making pads: অবসরপ্রাপ্ত মহিলা সৈনিকরাই বানাচ্ছেন স্যানিটারি প্যাড! অসমে নয়া উদ্যোগ

একটা সময় হাতে বন্দুক নিয়ে দেশের জন্য লড়াই করেছেন। গোটা দেশকে রক্ষার দায়িত্ব ছিল তাঁদের কাঁধে। এবার তাদের হাতেই তুলে দেওয়া হল স্যানিটারি প্যাড তৈরির মেশিন। অসমের উদলগুড়ি জেলায় অবসরপ্রাপ্ত মহিলা সেনাদের জন্য শুরু হয়েছে নয়া প্রকল্প। তাদের আগামী জীবনের জন্য শুরু হয়েছে কর্মসংস্থানের উদ্যোগ। বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন (Bodoland territorial region)-এ চলছে তাদের প্রশিক্ষণ। একটা বয়সে বন্দুক চালানো থেকে নানা মিলিটারি কায়দা শিখতে হয়েছিল ওই সেনাদের। এবার তাদের স্যানিটারি প্যাড তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। খুব শিগগির প্যাডের ব্যবসায়িক উৎপাদন শুরু হবে । যা বাজারে বিক্রি করা হবে। 

(আরও পড়ুন: End of Earth: একরকম নয়, ৪ উপায়ে ধ্বংস হতে পারে পৃথিবী! জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা)

প্রশিক্ষণ চলছে রাইস মিলেও

এই দিন বিটিআর (BTR)-এর চিফ এক্সিকিউটিভ মেম্বার প্রমোদ বোরো বলেন, সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর প্রত্যেক সেনাদেরই এমন কর্মসংস্থান প্রয়োজন। তাই তাদের কথা ভেবেই একাধিক প্রশিকণের আয়োজন করেছে বিটিআর। শুধু স্যানিটারি প্যাড নয়, এর পাশাপাশি রাইস মিলেও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সেনাকর্মীদের পছন্দ অপছন্দ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ক্ষেত্রগুলিতে প্রশিক্ষণ চলছে। 

প্রসঙ্গত, অবসর গ্রহণের পর রাজ্য ও কেন্দ্রের তরফে একটি নির্দিষ্ট আর্থিক সাহায্য পান সেনাকর্মীরা। কিন্তু তার পরও অনেকে বাড়ি বসে না থেকে কাজ করতে আগ্রহী হন। তেমন কাজেরই ব্যবস্থা করে দিচ্ছে বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল রিজিয়ন।

(আরও পড়ুন: Air pollution: মানুষের ‘বাতকর্ম’-এর ঠেলায় বাড়ছে দূষণ! এবার সতর্ক করলেন বিজ্ঞানীরা)

কোঅপারেটিভ গড়ছে সেনারাই

সেনাদের মধ্যে ছোট ছোট কোঅপারেটিভ গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রমোদ বোরো এই দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সবার একই দিকে আগ্রহ থাকে না। তাই যার যেদিকে আগ্রহ, তাকে সেই কোঅপারেটিভে নিযুক্ত করা হচ্ছে। এতে দ্রুত কাজ শিখছে তাঁরা। খুব শিগগির এই কোঅপারেটিভে তৈরি বিভিন্ন দ্রব্য বাজারে চলে আসবে। অপেক্ষাকৃত কম দামেই পাওয়া যাবে সেসব। 

ফিন রোডোমখাঙ

এই গোটা উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ফিন রোডোমখাঙ। বা ইংরেজিতে ‘মিশন ব্লোসোম এগেন’। অর্থাৎ ‘আবার ফুটে ওঠা’র মিশন।‌ মিশনের সাধারণ সম্পাদক বিনুয়াল ওয়ারি সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, এই উদ্যোগের অধীনে ৩০ টি কোঅপারেটিভ গড়ার লক্ষ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২১ পা কোঅপারেটিভ ইতিমধ্যে তৈরি ফয়ে গিয়েছে। আরও আটটা কোঅপারেটিভের জন্য ফান্ড অ্যাপ্রুভ হয়ে গিয়েছে।