হার্ট-অ্যাটাক বা অন্য সমস্যা? রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজে হচ্ছে এমার্জেন্সি ইউনিট

সাধারণত অনেক সময় হৃদরোগে আক্রান্ত, প্রবল শ্বাসকষ্ট, স্ট্রোকে আক্রান্ত বা অন্যান্য জটিল সমস্যার রোগীদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠালে তবেই রোগীর চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু, এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা সময় লেগে যাওয়ায় রোগীর প্রাণ সংশয় পর্যন্ত ঘটে থাকে। তবে জরুরি বিভাগে সাধারণ মেডিক্যাল অফিসারের পাশাপাশি এমার্জেন্সি মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলে রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। সেই কথা মাথায় রেখে আগেই রাজ্যের ১১টি মেডিক্যাল কলেজে এমার্জেন্সি মেডিসিন ইউনিট চালু করার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। আর এবার পশ্চিমবঙ্গের সব মেডিক্যাল কলেজে এই ইউনিট গড়তে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

আরও পড়ুন: পুজোর আগেই রাজ্যের ১১টি মেডিক্যাল কলেজে চালু হচ্ছে ইমার্জেন্সি মেডিসিন পরিষেবা

সেরিব্রাল অ্যাটাক বা হার্ট অ্যাটাকের রোগীকে স্থিতিশীল করার জন্য সঠিক সময় ঠিকঠাক ওষুধ দেওয়া হচ্ছে কিনা? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। তার সঙ্গেই ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সবকটি মেডিক্যাল কলেজে এই মেডিসিন ইউনিট চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ মেনেই সবকটি মেডিক্যাল কলেজে এই ইউনিট চালু করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর। উল্লেখ্য, বর্তমানে রাজ্যে ২৮ টি মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। এই সবকটিতেই এই মেডিসিন ইউনিট চালু করা হবে। প্রসঙ্গত, বিদেশেও এমার্জেন্সি মেডিসিন পরিষেবা চালু রয়েছে। 

এর পাশাপাশি গত বছর মেডিক্যাল কমিশন জানিয়েছিল, সব স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল কলেজে এমার্জেন্সি মেডিসিন পঠন-পাঠন শুরু করতে হবে। কিন্তু, রাজ্যগুলির বক্তব্য ছিল যে এর জন্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক বা সহকারী অধ্যাপক পাওয়া কঠিন। তবে মেডিসিন ইউনিট চালু করার বিষয় একমত হয়েছিল রাজ্য। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে একমাত্র এসএসকেএম হাসপাতালে এমার্জেন্সি মেডিসিন পরিষেবা চালু রয়েছে। সেখানে নির্দিষ্ট বিভাগও রয়েছে। সেক্ষেত্রে প্রথম ধাপে কলকাতার বাকি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে মেডিসিন ইউনিট তৈরি করা হবে। এরপর ধাপে-ধাপে জেলাগুলির মেডিক্যাল কলেজে এমারজেন্সি মেডিসিন ইউনিট তৈরি করা হবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি জরুরি বিভাগে ভালোভাবে চিকিৎসা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হবে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, এর ফলে রোগীর প্রাণ সংশয়ের ঝুঁকি কমবে।