Caste Census: ‘এসব কোনও কাজে লাগে না,’ জাতিগত জনগণনা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করল RSS

প্রদীপ কুমার মৈত্র

জাতিগত জনগণনার জন্য গোটা দেশজুড়ে নানা দাবি তোলা হয়েছে। তবে এনিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল আরএসএস। রাষ্ট্রীয় স্বংয়সেবক সঙ্ঘ জানিয়ে দিল, এই দাবিকে একেবারেই মানবে না তারা। তারা জানিয়ে দিয়েছে, সামাজিক অসাম্যতা তৈরি করে দেবে এই জাতিগত জনগণনা।

মঙ্গলবার সকালে শাসক বিজেপি ও শিবসেনা( শিন্ডে গ্রুপ) আরএসএসের শ্রুতি মন্দির কমপ্লেক্সে যান। সেখানেই আরএসএস নেতৃত্বে তাঁদের গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে দেন বলে খবর।

সেখানে জানিয়ে দেওয়া হয় আরএসএস এই জাতিগত জনগণনার বিরোধিতা করছে। শ্রীধর ঘগরে আরএসএসপ্রচারক জানিয়েছেন, এই জাতিগত জনগণনাটা কোনও কাজে লাগবে না। তিনি জানিয়েছেন, এর মাধ্য়মে কোনও লাভ হবে এমনটা নয়। এর মাধ্যমে উল্টে ক্ষতিই হবে। এটা এই অসাম্যের শিকড় নয়। এটাকে সামনে আনার মধ্য়ে কোনও যৌক্তকতা নেই।

তবে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ও জেনারেল সেক্রেটারি দত্তাত্রেয় হোসাবেলে এদিন নাগপুরে ছিলেন না। সেই সঙ্গেই এদিন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে ও উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এই মিটিংয়ে ছিলেন।

এদিকে শিন্ডে গোষ্ঠীর একাধিক পরিচিত মুখকে এদিন এই কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর নেতা অমল মিতকারি বলেন, কোথায় যাওয়া হবে, কিংবা যাওয়া হবে না সেটা পুরোপুরি দলের নেতাদের উপর নির্ভর করছে।

এদিকে এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, এই ধরনের জাতিগত জনগণনার ব্যাপারে বিরোধিতা করছে না বিজেপি। তবে এবার সেই বিজেপি নেতাদের কাছেই তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল আরএসএস।

সেক্ষেত্রে শ্রীধর ঘগরে আরএসএসপ্রচারক জানিয়েছেন, কোনও দলের তাদের অবস্থান থাকতেই পারে। কিন্তু আরএসএস সামাজিক সাম্যকে প্রমোট করতে চায়। যদি এই জাতিগত জনগণনার বিষয়টি সামাজিক অসাম্যতার কারণ না হয় তবে আরএসএস বিশ্বাস করে এখানে জাতগত জনগণনার কোনও প্রয়োজন নেই।

আরএসএস জানিয়েছে, এই ধরনের জাতিগত জনগণনা আরও অসাম্যতাকেই সামনে আনবে।