Illegal Construction: শিলিগুড়িতে চলল বুলডোজার, হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হল ২২টি অবৈধ নির্মাণ

রাস্তার দু’পাশেই গড়ে উঠেছিল একাধিক অবৈধ নির্মাণ। সেই সমস্ত নির্মাণগুলি অবিলম্বে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই রাস্তার দুপাশে থাকা অবৈধ নির্মাণ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করল শিলিগুড়ি পুরসভা। শুক্রবার একাধিক বুলডোজারের সাহায্যে এই সমস্ত অবৈধ নির্মাণগুলি ভাঙা হয়। এদিন নির্মাণ ভাঙাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করেই নির্মাণ ভেঙে দিচ্ছে পুরসভা।

আরও পড়ুন: বিচারপতি গাঙ্গুলির নির্দেশে স্থাগিতাদেশ, লিলুয়ায় বন্ধ বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ

অভিযোগ উঠেছিল, শিলিগুড়ির প্রধান নগরের নিবেদিতা রোডে বহু অবৈধ নির্মাণ গড়ে উঠেছে। সেই সংক্রান্ত মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্ট অবিলম্বে এই সমস্ত নির্মাণগুলি ভেঙে দিতে বলে। হাইকোর্টের সেই নির্দেশ কার্যকর করার জন্য শুক্রবার বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী নিয়ে এলাকায় হাজির হন পুর কর্মীরা। এরপরই প্রধান নগর থানার পুলিশের উপস্থিতিতে শুক্রবার সকাল থেকেই সেই অবৈধ নির্মাণগুলি ভাঙার কাজ শুরু হয়। এই অবৈধ নির্মাণগুলির মধ্যে যেমন প্রচুর বাড়ি রয়েছে তেমনি বেশকিছু দোকানপাট, রেস্তোরাঁ এবং ক্যাফেও রয়েছে।প্রায় ২২টি অবৈধ নির্মাণ কার্যত ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগম।

উল্লেখ্য, এর আগেও শহরের অবৈধ নির্মাণ নিয়ে সরব হয়েছিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের মেয়র গৌতম দেব। কোথাও অবৈধ নির্মাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। এর আগেও শহরের বেশকিছু জায়গায় অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগম। এদিন নিবেদিতা রোডে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু হতেই সেখানে ব্যাপক ভিড় জমে। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক যানজট হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সেখানে তার মুদির দোকান ছিল। প্রথমে তাদের বলা হয়েছিল তাদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। কিন্তু, তা না দিয়ে তার দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই দোকান থেকেই সংসার চলে তার। তিনি পরিবারের সঙ্গে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। এখন কীভাবে সংসার চলবে বা বাড়ির ভাড়া মেটাবেন? তাই নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন তিনি। তার আশঙ্কা ভাড়া দিতে না পারলে বাড়ি থেকে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। তার অভিযোগ, সরকার কোনও রকমের ব্যবস্থা নেয়নি। এরকমভাবে সরকার তাদের মেরে ফেলার পরিকল্পনা করছে।