Private Jet: এই দেখুন! খরার ত্রাণ চাইতে প্রাইভেট জেটে মুখ্যমন্ত্রী, খোঁচা বিজেপির, মোদী কীসে চাপেন? পালটা প্রশ্ন

এবার ইস্যু প্রাইভেট জেট। আর সেই প্রাইভেট জেট ইস্যুতে এবার জোর তরজা বিজেপি আর কংগ্রেসের মধ্য়ে। আসলে একটা ভিডিয়োকে ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেস নেতারা বসে রয়েছেন প্রাইভেট জেটে। আসলে সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করেছেন কর্ণাটকের মন্ত্রী জামির আহমেদ খান। সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করা সেই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, মুখ্য়মন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াকে সঙ্গে তিনি ওই প্রাইভেট জেটে রয়েছেন। বেঙ্গালুরু থেকে দিল্লি যাচ্ছেন তাঁরা। খরার ত্রাণ তহবিল সংগ্রহের জন্য় তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। আর সেটাও প্রাইভেট জেটে চেপে।

জামির আহমেদ খান লিখেছেন, দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত যাচ্ছি গর্বিত নেতার সঙ্গে।

কর্ণাটকের বিজেপি প্রধান বিওয়াই বিজয়েন্দ্র এনিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। রাজ্যের কৃষকদের ফসলের এত ক্ষতি হয়েছে। আর মুখ্য়মন্ত্রী বিলাসবহুল জেট প্লেনে চেপে ঘুরছেন। কর্ণাটকে যখন ভয়াবহ খরা তখন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর মন্ত্রীদের নিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করছেন।

 

বিজেপি মুখপাত্র এস প্রকাশ এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, প্রাইভেট জেট না করে মুখ্য়মন্ত্রী সাধারণ ফ্লাইটে যেতেই পারতেন। প্রায় ২০০টি তালুক খরা কবলিত। মানুষ ভুগছে। আর সেই সময় এভাবে বিলাসবহুল চার্টার্ড ফ্লাইটে চেপে যাওয়ার কোনও যুক্তি নেই।

তবে এর ব্যাখা দিয়েছেন জামির আহমেদ খান। তিনি জানিয়েছেন, স্পেশাল ফ্লাইট নিয়ে সমস্য়ার কী আছে! আমাদের পরের দিন মিটিং ছিল। আর মুখ্য়মন্ত্রী তো স্পেশাল ফ্লাইটেই যান। এটা খুব জরুরী ছিল মিটিংটা। কিন্তু আমরা টিকিট পাচ্ছিলাম না।

কর্ণাটকের পরিবহণমন্ত্রী রামালিঙ্গা রেড্ডি এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে আমাদের মুখ্য়মন্ত্রী ও অন্য়ান্য মন্ত্রীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বিজেপি নেতারা একটি ভিডিয়ো নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু গত তিন মাস ধরে বিজেপি কখনও প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফান্ড ছাড়ার জন্য় বলেন না।

আর সিদ্ধারামাইয়া সাংবাদিকদের বলেন, বিজেপির লোকজনকে জিজ্ঞাসা করুন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একাই ৬০ আসনের বিমানে বসে যান।