Jadavpur University Convocation: সমাবর্তন কি হবে যাবদপুরে? হলে, শংসাপত্র নিয়েও সংশয়ে পডুয়ারা

রাজ্য-রাজ্যপাল টানাপোড়েনে নাজেহাল অবস্থা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালের পড়ুয়াদের এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় সমাবর্তন হবে কিনা। রবিবার ভোরের কুশায়া ঢাকা সকালের মতই অস্পষ্ট হয়ে রয়েছে পুরো বিষয়টি। যদিও সমাবর্তনের প্রস্তুতি সব সারা হয়ে গেলেও রাজভবন কিংবা রাজ্য কেউ স্পষ্ট করে কিছু বলছে না এ নিয়ে। এরই মধ্যে আবার রাজ্যপাল, অপসারিত উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে জানিয়ে দিয়েছেন, সমাবর্তন হলে তার খরচ তাঁকেই বইতে হবে। 

এই সমাবর্তন নিয়ে প্রাক্তন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি দাবি করেন রাজভবনকে জানিয়েই প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘পুজোর আগেই সমাবর্তন নিয়ে রাজভবনকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। আমি নিজে দেখা করেছিলাম। তারপরই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। রেজাল্টও তৈরি হয়। সেটা করতে সময় লাগে। কারণ পুজোর পরও অনেক রিভিউ ছিল। সব কিছু তৈরি হওয়ার পরই সমাবর্তনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। তাই পুজোর আগে এ নিয়ে রাজভবনকে জানানো হয়। সমাবর্তন হবে বলে হোয়াটসঅ্যাপে জানানো হয়েছিল।’

বুদ্ধদেব সাউয়ের দাবি, তিনি অতিথি হিসাবে ইউজিসির চেয়ারম্যানকে এক নম্বরে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাতে পরিবর্তন করে ইসরোর চেয়ারম্যানকে প্রধান অতিথি করে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। প্রাক্তন উপাচার্য বলেন, ‘আমরা প্রথমে ইউডজিসি-র চেয়ারম্যানকে রেখেছিলাম। পরে ওনার পরামর্শে আমরা ইসরোর চেয়ারম্যানকে এক নম্বরে আনি। এ সব কিছু পুজোর আগে থেকে চলেছে। সেটা যদি অস্বীকার করা হয়, তবে তা সঠিক নয়। টাকা-পয়সা সব বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। এমন কোনও ঘটনা ঘটে নিয়ে সমাবর্তন বন্ধ করে দিতে হবে।’

প্রশ্ন শাংসপত্র নিয়ে

বিশ্ববিদ্যালয়ের পডুয়াদের একাংশের মনে শঙ্কা শংসাপত্র নিয়ে। সূত্রের খবর, সমস্ত শংসাপত্রে সই রয়েছে বুদ্ধদেব সাউয়ের। সমাবর্তনের ঠিক আগের দিনই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই রবিবার যদি শংসাপত্র দেওয়া হয়, তবে তাতে সই থাকবে প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের। সেই শংসাপত্রের গ্রহণযোগ্যতা কী থাকবে? এই প্রশ্নই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে পড়ুয়াদের মনে। যাদবপুর শিক্ষকরাও এ নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। 

এ নিয়ে পুরো দায় নিতে চান না বুদ্ধদেব সাউও। তাঁর কথায়, ‘পাঁচ হাজার পড়ুয়াদের দায়িত্ব পুরো দায়িত্ব আমার উপর নেই।  আমরা গোটা পৃথিবীর মানুষ একজোট হয়ে চলি। রাজ্য সরকার আছে, কেন্দ্রীয় সরকার আছে। আদালতও আছে। হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট। তারা সবাই রক্ষা করবে। সবাই জানে, শিক্ষিত সমাজ জানে কী ঘটছে। ’

এই টানাটানিতেই উৎকণ্ঠায় রয়েছেন যাবদপুরের পড়ুয়ারা। সমাবর্তন যদি হয়, তবে তাতে দেওয়া শংসাপত্র কি বৈধ হবে? এই প্রশ্নই ঘুরছে তাঁদের মনে।