Sukanta Majumdar on BJP Committee: বিজেপির ‘১৫ জনের নির্বাচন কমিটি’ ঘিরে ধোঁয়াশা, শাহ কলকাতা ছাড়তেই বড় দাবি সুকান্তর

আর কয়েক মাস পরই নির্বাচন। এই আবহে বর্ষশেষে রাজ্যে একসঙ্গে পা রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। এরই মাঝে দাবি করা হয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য নাকি ১৫ জনের নির্বাচনী কমিটি গঠন করে দিয়ে গিয়েছেন শাহ-নড্ডা। সংবাদমাধ্যমে যে তালিকা প্রকাশিত হয়, তাতে ছিল না বাংলার চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম। এই আবহে জল্পনা শুরু হয় রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। এই আবহে শাহ ও নড্ডা কলকাতা ছাড়তেই এই ‘কমিটি’ নিয়ে মুখ খোলেন সুকান্ত মজুমদার। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, এই ধরনের কোনও কমিটি নাকি শাহ ও নড্ডা গড়ে দিয়ে যাননি। (আরও পড়ুুন: ‘CAA হবেই, ঠেকাতে পারবে না কেউ’, বাংলায় দাঁড়িয়ে মমতাকেই যেন বার্তা দিলেন শাহ)

আরও পড়ুন: শুধু নন-এসি নয়, আসবে এসি অমৃত ভারতও, ‘বন্দে সাধারণ’ নিয়ে এল বড় আপডেট

শোনা গিয়েছিল, রাজ্যে এসে ১৫ সদস্যের এক ভোট ‘ম্যানেজমেন্ট টিম’ তৈরি করে দিয়েছিলেন শাহ ও নড্ডা। প্রসঙ্গত, বিধাননগরের এক হোটেলে বিজেপির ১৫ জন নেতা বৈঠক করেছিলেন শাহ-নড্ডার সঙ্গে। এরপরই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘কোনও কমিটি তৈরি হয়নি। রাজ্যের নির্বাচনী কমিটিতে কেন্দ্রের কোনও নেতার নাম থাকে না। সম্ভবত, আজকের বৈঠকে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন, সেই লিস্ট আপনারা পেয়েছেন। আগামী দিনের রোডম্যাপ কী হবে চব্বিশের ভোটকে সামনে রেখে সেই কথা বলে গিয়েছেন তাঁরা। যে ৩৫টি সিটের টার্গেট, সেই টার্গেটকে সামনে রেখে আমরা এগোবো।’

আরও পড়ুন: এবার ‘স্থায়ী সরকারি কর্মীর মর্যাদা’ পাবেন চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরাও, মিলবে কত বেতন

সুকান্ত উল্লেখিত কমিটি নিয়ে গতকাল রাতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনাদের কাছে সম্পূর্ণ ভুল তথ্য আছে। নির্বাচনের কোনও কমিটি তৈরি হয়নি। নির্বাচনের যে কমিটি টিভিতে দেখানো হচ্ছে, মাননীয় অমিত শাহজি এবং জেপি নড্ডাজির নামও নাকি তাতে আছে। রাজ্য নির্বাচনী কমিটিতে কেন্দ্রীয় কোনও নেতার নাম থাকে না। এই ধরনের কমিটিতে কোনওদিন রাষ্ট্রীয় সভাপতির নাম থাকে নাকি?’ এরপর লোকসভা ভোটের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ‘২০২৪-কে সামনে রেখে রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি কীভাবে এগোবে সেই রোড ম্যাপ বলে গিয়েছেন তাঁরা। তবে সেই রোডম্যাপের কথা আমি আপনাদের বলতে পারব না। তবে তাঁদের বাতলে দেওয়া সেই রোডম্যাপ অনুসারেই আমরা চলবো। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে ৩৫টি আসনের টার্গেট দিয়েছেন, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা এগিয়ে যাব।’

এদিকে বিজেপির ৩৫ আসনের লক্ষ্য নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন কুনাল ঘোষ। তৃণমূল মুখপাত্রের সেই কটাক্ষের জবাবে সুকান্ত গতকাল বলেন, ‘৩ পাব কিনা জানি না, তবে ৩৫-এর মাঝখানে পয়েন্ট বসালে ৩.৫ হয়। উনি সাড়ে তিন বছর জেল খেটে এসেছেন।’ এদিকে ২০২১ সালে বাংলায় বারবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বরা এসেছিলেন। কিন্তু আশানুরূপ ফল হয়নি। এই নিয়ে সুকান্ত বলেন, ‘আমাদের তার আগে তিনজন বিধায়ক ছিলেন। সেখান থেকে আমরা ৭৭-এ পৌঁছেছি। তাহলে এবার কী হবে ভাবুন।’

এদিকে ‘গীতা-ফুটবল’ মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সুকান্তর বিরুদ্ধে তৃণমূল যুব আজ মিছিল করেছিল। সায়নী ঘোষের নেতৃত্বে হয় সেই মিছিল। সেখানে সায়নীর মন্তব্যের জবাবে সুকান্ত বলেন, ‘সায়নী ঘোষকে বলুন শিবলিঙ্গে কি পরিয়েছিলেন তার জন্য আপনি কতবার ক্ষমা চেয়েছেন? আগে উনি নাক ক্ষত দিন। আমি বিবেকানন্দ সম্পর্কে কিছু বলিনি। আমি বলেছি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদেরকে নিয়ে। এরা অর্ধশিক্ষিত।’