মানবপাচারে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ভারতে ৯ বাংলাদেশি আটক

ভারতের গুজরাট রাজ্যে ৯ বাংলাদেশি নাগরিকসহ ১০ জনকে আটকের দাবি করেছে সুরাট জেলা পুলিশ। তাদের দাবি, মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত একটি ‘বাংলাদেশি চক্রকে’ ধ্বংস করেছেন তারা। সোমবার (১ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে সুরাটের পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার তোমর এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সুরাট পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) এবং প্রিভেনশন অফ ক্রাইম ব্রাঞ্চ (পিসিবি) কিছু বাংলাদেশি অপরাধীকে ধরেছে, যারা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিল। 

আটককৃতরা বাংলাদেশ থেকে লোকদের ভারতে নিয়ে দেশটির নাগরিক বানাতে তাদের জন্য জাল নথি তৈরি করতো বলেও অভিযোগ স্থানীয় পুলিশের। সংস্থাটির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযুক্তরা চাকরি ও বেশি টাকা প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে নারী-পুরুষদের ভারতে নিয়ে আসতো। আর এই লোভ দেখিয়ে বাংলাদেশি নারীদের ভারতে এনে বিভিন্ন স্পা সেন্টার ও যৌনকর্মে বাধ্য করতো।’

পুলিশ জানিয়েছে, আটকদের কাছে ভারতীয় বিভিন্ন নকল নথি পাওয়া গেছে। যার মধ্যে আধার কার্ড, প্যান কার্ড, নির্বাচনি কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্সও রয়েছে। গুজরাটের ভাদোদরায় বসবাসকারী আকাশ সঞ্জয় ভাই মানকর নামে এক ব্যক্তি ফটোশপের মাধ্যমে এগুলো তৈরি করে। ওই ব্যক্তি ও ৯ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটককৃত ৯ বাংলাদেশির মধ্যে ৩ জন নারীও রয়েছেন।
 
আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় আরও সাতটি অপরাধে মামলা করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আটককৃতদের কাছ থেকে জাল নথি ছাড়াও মোবাইল ফোন, বাংলাদেশি মুদ্রা, বাংলাদেশের আসল পরিচয়পত্রের লেমিনেটেড কপি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স উদ্ধার করা হয়েছে। 

এই জাল নথির সাহায্যে অভিযুক্তরা ভারতে ব্যাংক ঋণও নিয়ে একটি কার ও দুটি মোটরবাইক কিনেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

এই ঘটনায় এসওজি এবং পিসিবি যৌথভাবে বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে।