Abhishek Banerjee Asset: অভিষেকের এত সম্পত্তি আসে কোথা থেকে? জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়

একেবারে মোক্ষম প্রশ্ন তুলে দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। সংবাদমাধ্য়মের সামনে তিনি প্রশ্ন করেন, একজন নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁর এত সম্পত্তি আসে কোথা থেকে? তিনি কি তাঁর সম্পত্তির একটা হিসাব পেশ করবেন? তিনি কি সম্পত্তির হিসেব সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন? সেটা তিনি করতে পারবেন? যদি তিনি করেন তাহলে তাঁর সমতুল্য নেতা যারা আছেন যেমন মীনাক্ষী মুখোাপাধ্য়ায় বা আর যাঁরা আছেন তাঁরাও তাঁদের সম্পত্তির হিসাব সোশ্য়াল মিডিয়ায় দিন। কার কত সম্পত্তি আছে, কার কী সোর্স সম্পত্তির এসবই জানতে চান বিচারপতি। প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন।হলফনামা দিন, সাধারণ মানুষ হিসাবে দেখতে চাই। জানালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়।

কার্যত গোটা বাংলার সাধারণ মানুষের প্রশ্নই যেন প্রতিধ্বনিত হল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায়ের গলায়। 

এখানেই থেমে থাকেন নি তিনি।

তাঁর প্রশ্ন, রাজ্য সরকার দুর্নীতির মামলা আটকানোর জন্য কত টাকা খরচ করেছে সুপ্রিম কোর্টে তার হিসাবে চাইছি। এমনকী আগামী দিনে তিনি অফিসিয়ালি এই হিসেব চাইবেন বলেও জানিয়েছেন। এর আগে বিরোেধীরা বার বারই প্রশ্ন তুলেছিলেন সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করছে দুর্নীতির মামলা আটকানোর জন্য। 

সেই সঙ্গেই বিচারপতি জানিয়েছেন, আমার এখন মাঝে মাঝে মনে হয়, একদল চোর বিরাট বিরাট উকিলদের দাঁড় করিয়ে আবেদন করছেন, আমরা চৌর্যবৃত্তি করে বাঁচি। এটা যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আমাদের জীবন ও জীবিকার অসুবিধা হবে। সেটা আর্টিকেল ২১কে লঙ্ঘন করবে। সুতরাং আমাদের অবাধে চুরি করার অধিকার দেওয়া হোক। এতে আশ্চর্য হব না।

তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও অভিষেক ও  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মধ্য়ে একাধিক ঘটনাক্রম হয়েছিল। 

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের তরফে আদালতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে একপেশে বা পক্ষপাতদুষ্ট মনোভাব নিয়েছিলেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে একথা বলা হয়েছে।

বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই সাবমিশন জমা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় এর আগে গত ১৩ এপ্রিল নির্দেশ দিয়েছিলেন সিবিআই ও ইডি এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে জেরা করতে পারবেন।