মিথোজীবী স্বপ্ন

মিথোজীবী স্বপ্ন

আগে আনন্দ লিখতাম
এখন অশ্রু লিখছি

আগে জোনাকির আলোয় লুকোচুরি খেলতাম
এখন অন্ধগলিতে সূর্যের অস্ত যাওয়ার রাগ তুলছি

আগে শীতের উষ্ণতায় আদর আঁকতাম
এখন আদরের মাফলারে পেঁচিয়ে মারছি
প্রিয় রঙিন আবেগ!

এখন নাগরিক আমি বেঁচে থাকি
কোনো এক মিথোজীবী স্বপ্নে!

ভালোবাসার ব্রেন সার্কিট
অবশেষে বৃষ্টি এলো!
সৃষ্টি এলো!
ডুবুডুবু ঘর, গৃহস্থালি

ভালোবাসার স্থায়িত্ব শুধু কয়েক মাইক্রোসেকেন্ডেই যথেষ্ট
জলের ভেতর জীবন ঢুকে গেল
থেমে গেল সময়
স্পার্ম ডোপামিনে আনন্দ অনুভব করল

প্রচণ্ড চুম্বকীয় আকর্ষণ জাগিয়ে তুলল
এক ঘুমন্ত বেড়াল।
ক্যালেন্ডারে সাঁতার দেবার দিনে সিঁড়ি পেরিয়ে উঠে
আসে নীলকুঠি
শিল্পীত ভূমি আর পথবাতির ইশারায়
দুজন মানব মানবী ছুঁয়ে থাকবার অঙ্গীকারে ব্যস্ত।

মুমূর্ষু ইচ্ছারা

একহাতে কড়া-পড়ে-যাওয়া দাগ
অন্য হাতে অন্ধকার
এইভাবে সংহত হয়ে যাই নিজের ভেতরে
গুটিয়ে রাখি জিহ্বাকে!

কোনো এক ভুল জোছনায়
কুঁকড়ে ফিরছিল কাঠঠোকরার
মৃত ক্ষয়ে যাওয়া ঠোঁট!

ভীষণ অন্ধকারে বন্ধ রেখেছি চোখ
হৃদয় খুলে নির্বাসন দিয়েছি
চির অলিন্দের পুঁজরক্ত!

কথকতা ও বিলাসী জোছনা

কথা জমে গেছে
ব্যথায় বিমর্ষ জোছনার ফলবতী মাঠ
নিজেকে নীল তিমির মতো ভারী লাগে আমার উত্তরপুরুষ

চোখ আমার হিমালয়ের
বরফ
তাতে ভাবনা নেই
মেঘের উপরে কোনো সবুজ নেই
সৌরজগতের গ্রহ নক্ষত্রদের সাথে আমি এক তালে নাচতে পারছি না
আমার অক্সিজেন লেভেল ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছে

এই শহরের গোপন রাত্তিরে
আমি অপেক্ষা করছি কৃষ্ণচূড়ার নিচে দাঁড়িয়ে
আলো ছিল হাতের আড়ালে, সঙ্গে নীরবতা!