Bengal STF: ভারতীয় নম্বরে Whatsapp খুলতে মুর্শিদাবাদ থেকে পাকিস্তানে OTP পাচার, গ্রেফতার ৯

মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে বলে দাবি করছে বিজেপি। আশঙ্কা যে একেবারে অমূলক নয় তা উঠে এল STF-এর অভিযানে। অভিযোগ, ভারতীয় ফোন নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলতে মুর্শিদাবাদ থেকে OTP পাচার হয়েছে পাকিস্তানে। কেন্দ্রীয় কোনও সংস্থা নয়, এই অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে বেঙ্গল STF. তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বেনামি সিম, ফিঙ্গার প্রিন্ট স্ক্যানার, প্রিন্টার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি।

STF সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ধৃত ISI এজেন্টদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে তাদের সঙ্গে ভারতীয় নম্বরে খোলা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট থেকে যোগাযোগ রাখে পাকিস্তানে থাকা অপারেটররা। সেরকম কয়েকটি নম্বর পরীক্ষা করে দেখা যায় সেগুলি মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গার একাধিক ব্যক্তির নামে নথিভুক্ত। সিমগুলি কারা বিক্রি করেছেন তাও চিহ্নিত করে ফেলেন তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন জায়গায় এক যোগে সেই সব ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে ৭ জনকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।

গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, সাধারণ মানুষ সিম তুলতে এলে তাদের ছবি, আধার কার্ডের ফটোকপি ও আঙুলের ছাপ কপি করে রাখত এই দুষ্কৃতীরা। তার পর সেই সব ছবি ও আঙুলের ছাপ ব্যবহার করে তোলা হত সিম। যার ছবি ও আধার ব্যবহার করে সিম তোলা হচ্ছে তিনি ঘুণাক্ষরেও কিছু জানতে পারতেন না। এর পর সেই সব সিমের নম্বর পাকিস্তানে ISIএর পান্ডাদের দিয়ে দিতেন ওই দোকানিরা। তারা পাকিস্তানে বসে সেই নম্বর ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট খুলত। কিন্তু আসল সিমটা যেহেতু দোকানদারের কাছেই থাকত তাই OTP আসত তার কাছে। সেই OTP মোটা দামে ISI কে বিক্রি করে দিত দোকানিরা। এভাবে সিম পিছু ৪ – ৫ হাজার টাকা আদায় করত তারা।

STF সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে ধৃতদের জেরা করে হুগলি থেকে আরও ২ জনকে গ্রেফতার করেছেন তদন্তকারীরা। তাদের সঙ্গে কী ভাবে ISI এজেন্টদের পরিচয় হল। তাদের টোপ দিয়ে ফাঁসানো হয়ে, না জেনে বুঝে এই চক্রে জড়িয়েছে তা জেরা করে জানার চেষ্টা করছে STF.