রাবির মার্কেটিং বিভাগের সভাপতির বিরুদ্ধে সহকর্মীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি মো. নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে একই বিভাগেরই এক শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুর পৌনে ১২টায় বিভাগের ৪৬৪তম অ্যাকাডেমিক কমিটির সভা চলাকালীন এ ঘটনা ঘটেছে।

বিভাগের একাধিক শিক্ষক ও ভুক্তভোগী শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঘটনার সূত্রপাত সভার একটি সিদ্ধান্তের বিষয়ে আপত্তি জানানোর কারণে। বিভাগের ৪৬৪তম অ্যাকাডেমিক কমিটির সভা মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৩০ মিনিট পর শুরু হয়। সভায় বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের পরীক্ষা কমিটি নিয়ে আলোচনা হয়।

নিয়ম অনুযায়ী পরীক্ষা কমিটিতে সভাপতিসহ মোট পাঁচজন সদস্য থাকেন। এর মধ্যে একজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হয়। সাধারণত পরীক্ষা কমিটির যিনি সভাপতি হন, তিনি তার পছন্দমতো বাইরের শিক্ষকের নাম সুপারিশ করেন। এটি বিভাগের প্রচলিত নিয়ম।

তবে বিভাগের বর্তমান সভাপতি ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতির সুপারিশ না নিয়ে আগেই একজন বাইরের শিক্ষককে কমিটির সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন। পরীক্ষা কমিটির সভাপতি বিষয়টি নিয়ে সভায় আপত্তি জানান। এ সময় তার পক্ষ নেন সভায় উপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষক।

একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষক পরীক্ষা কমিটির সভাপতির পক্ষ নিয়ে কথা বলা শুরু করেন। বিভাগের সভাপতির সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। সভাপতি তার চেয়ার থেকে তেড়ে এসে ভুক্তভোগী শিক্ষকের গলা চেপে ধরেন। পরে উপস্থিত শিক্ষকরা তাকে থামান। সেখানেই সভার সমাপ্তি ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, সিদ্ধান্তটি নিয়ে সভাপতির পক্ষে কথা বললে তার সঙ্গে আমার তর্ক হয়। পরে তিনি চেয়ার ছেড়ে তেড়ে এসে আমার গলা চেপে ধরেন। আমি পাল্টা আক্রমণ না করে তাকে নিষেধ করি। কিন্তু তারপরও আরও মারার চেষ্টা করেন। পরে উপস্থিত শিক্ষকরা তাকে থামান। এতে আমি প্রচণ্ডভাবে অপমানিত হয়েছি।

ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, এর আগেও একজন শিক্ষক ও ছাত্রকে লাঞ্ছিত করেছেন তিনি। তার কাছে কোনও সহকর্মী নিরাপদ নন। এই পদে থাকার তার কোনও নৈতিক অধিকার নেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিভাগের এক শিক্ষক বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষক একটু উঁচু গলায় কথা বলেছেন। মিটিংয়ে সাধারণত এমন হয়েই থাকে। তবে বিভাগের সভাপতির উচিত হয়নি তাকে লাঞ্ছিত করার। তাও ভালো ভুক্তভোগী শিক্ষক পাল্টা আক্রমণ করেননি। তাহলে বিষয়টি অন্য দিকে মোড় নিতো।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।