স্কুলে ঢুকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেধড়ক মারধর করা হল। শুধু তাই নয় স্কুলের টিচার্স রুমে ভাঙচুর চালানো হল। বেশ কয়েকজন শিক্ষিকার মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ২০ থেকে ৩০ জন বহিরাগত স্কুলের ভিতরে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বলরামপুর মন্মথনাথ বিদ্যামন্দিরে। এই ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্র ছাত্রীরা। বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষিকা আঘাত পেয়েছেন। এই ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলছেন আক্রান্তরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের চড়ের জের, ২ কানে শুনতে পাচ্ছে না ছাত্র, অভিযোগ পরিবারের
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে স্কুলে ক্লাস চলছিল। সেই সময় প্রায় ২০ জন শিক্ষক শিক্ষিকা টিচার্স রুমে বসে ছিলেন। আবার অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা ক্লাসে ছিলেন। তখন বাইরে থেকে ২০ জন লোক এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করে। এরপর তারা টিচার্স রুমে ঢুকে গিয়ে শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের উপর আচমকা হামলা চালায়। এরপর তাদের মোবাইল ফোন ভেঙে দেয়। পাশাপাশি সমস্ত স্কুলের নথি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেয়। শিবনাথ চট্টোপাধ্যায় নামে আক্রান্ত এক শিক্ষক জানান, তিনি ক্লাসে ছিলেন। ওই ব্যক্তিদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে তিনি টিচার্স রুমে চলে আসেন। তখন দেখেন ২০ থেকে ৩০ জন লোক টিচার্স রুমে ঢুকে চিৎকার চেঁচামেচি করছে। এরপর তাঁকে দেখে ওই বহিরাগতরা তাঁর উপর চড়াও হয় এবং তাঁকে মারধর করে।
কী কারণে মারধর করা হয়েছে বা কেন তারা শিক্ষকদের ওপর চড়াও হল? তা কেউ বলতে পারছেন না। তবে আক্রান্ত শিক্ষকদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তা নিয়ে তাঁরা প্রতিবাদ করেছেন। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলাও চলছে হাইকোর্টে। তিনি বলেন, ‘তার পর থেকেই আমাদের মারধর করার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। অবশেষে আজ আমাদের সত্যিসত্যিই মারধর করা হল। শিক্ষকদের স্পষ্ট অভিযোগ, এই ঘটনার পিছনে প্রধান শিক্ষক সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদের হাতে রয়েছে।
অন্যদিকে, এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। তাঁর পালটা অভিযোগ, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এঁরা দীর্ঘকাল স্কুলে একটা অরাজকতা করার চেষ্টা করছে।’ এদিন ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় নরেন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।