Offbeat travel: গাড়ি নয়, এই হিল স্টেশনে ঘোড়া চলে শুধু! ভিড় থেকে দূরে বেড়াতে হলে ঘুরে নিন মাথেরন, রইল খরচার হিসেব

বেড়াতে গিয়েও যদি ক্রমাগত কানের কাছে গাড়ির হর্ন বাজতে থাকে, কিম্বা রাস্তায় চলতে গিয়ে হঠাৎ করে এসে পড়ে কোনও বাইক, তাহলে কার ভালো লাগে? এছাড়াও জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পটে গিয়েও গায়ের ওপর ভিড় লাগলে, সেভাবে বেড়িয়েও মজা পাওয়া যায় না! আপনি যদি ভিড়, শহরের রোজের কোলাহল থেকে বহু দূরে কোনও হিলস্টেশনে নিরালায় কয়েকটা দিন কাটানোর প্ল্যানে থাকেন, তাহলে ঘুরে নিন মাথেরান। মহারাষ্ট্রের এই হিলস্টেশনে পাহাড়, জঙ্গলের সঙ্গে রয়েছে এক মায়াবী রহস্যঠাসা অনুভূতি। 

মাথেরন নিয়ে বহু সময়ই স্থানীয় এলাকায় নানান ঘটনার কথা চর্চিত রয়েছে। হয়েছে ফিল্মি দুনিয়ার নানা শুটিং। অনেকেই বলেন এককালে এলাকায় ছিল ব্রিটিশদের বাস। সেই থেকেই এলাকায় ঘোড়ার চলাচল। এই হিলস্টেশনটি ভারতের ‘অটোমোবাইল ফ্রি’ হিলস্টেশন। পাহাড়ি উপত্য়কায় লাল ধুলো উড়িয়ে এখানে ঘোরাফেরা করে ঘোড়া। তাতে চড়েই ঘুরে বেড়াতে পারেন পাহাড়ের গায়ের নানা ভিউ পয়েন্ট। ট্রেকিং-প্রেমীরাও এখানে মনের স্বাদ খুঁজে নিতে পারেন। একইসঙ্গে ভোজনরসিক যাঁরা.. বিশেষত মাছ-বিলাসী তাঁরা এখানে সি-ফুডে মন মজিয়ে নিতে পারববেন খানিকটা। এতো গেল চারিদিকের কথা! এবার আসা যাক কীভাবে টয়-ট্রেন নিয়ে মাথেরানে এন্ট্রি নেবেন তার কথায়। রইল মাথেরন ট্রিপের সম্পূর্ণ গাইডলাইন।

কীভাবে যাবেন?

মহারাষ্ট্র বেড়াতে গেলে, হাতে কিছুদিন সময় থাকলে মুম্বই থেকে সোজা চলে যেতে পারেন মাথেরানে। মুম্বইয়ের সিএসটি স্টেশন থেকে একাধিক ট্রেন রয়েছে মাথেরানগামী। সেখানে নেরাল বা কারজট পর্যন্ত লোকাল ট্রেন যায়। তারপর টয় ট্রেনে মাথেরানে এন্ট্রি নিতে হবে আপনাকে। চারিদিকে একেবারে সিনেমার মতো ঝকঝকে প্রকৃতি স্বাগত জানাবে। এছাড়াও মাথেরানে ঢোকার মুখে রয়েছে গাড়ি রাখার পার্কিং। মুম্বই থেকে গাড়িতে মাথেরান গেলে সেখানে গাড়ি রেখে মাথেরানে ঢোকার টিকিট কেটে তবে ঢুকতে পারবেন ‘অটোমোবাইল ফ্রি হিলস্টেশন’এ। 

হোটেল ও খরচ খরচা 

এরপর আসা যাক হোটেলের খবরে। মাথেরন জুড়ে রয়েছে বহু হোমস্টে। এছাড়াও রিসর্টও রয়েছে বহু জায়গায়। চাইলে হোটেল এখানে ৭০০ টাকা থেকে পেয়ে যেতে পারেন। হোমস্টে হলে থাকা, খাওয়া একটু সস্তা পড়তে পারে। রিসর্টের ভাড়াও আর চারপাঁচটা নামি হিলস্টেশনের থেকে খানিকটা সস্তা। খাওয়ার ক্ষেত্রে এখানে ছোট ছোট সি ফুড, নিরামিষ খাবারের দোকান রয়েছে। এছাড়াও গোয়ানিজ খাবারের বিশেষ রেস্তোঁরাও রয়েছে। সেখানে আলাদা করে অর্ডার দিয়ে মনের মতো খাবার পেতে পারেন। 

কী কী দেখবেন

ঘোড়ায় না চড়লে গোটা মাথেরান পায়ে হেঁটে দেখতে পারেন। কোন কোন এলাকায় ঘুরবেন দেখে নিন।

১) প্যানোরামা পয়েন্ট

২) আলেকজান্ডার পয়েন্ট

৩) শ্যার্লটি লেক

৪) কিং জর্জ পয়েন্ট

৫) হানিমুন পয়েন্ট

৬) লুইসা পয়েন্ট।

৭) নারিমন চিক্কি থেকে কিনতে পারেন চিক্কি। 

৮) রয়েছে চামড়ার খরিদারি করার নানান জিনিস।