Hiranandani Group: হিরানন্দানি গোষ্ঠীর বাড়িতে তল্লাশি ইডির, ব্যাপারটা কী?

ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট (ফেমা)-র বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের অন্যতম শীর্ষ রিয়েল এস্টেট সংস্থা হিরানন্দানি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত পাঁচটি সরকারি ও আবাসিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

সংস্থাটির প্রতিনিধিরা অবশ্য এই আইন লঙ্ঘনের  ব্যাপারে বিশদে জানাতে চাননি। তাঁরা জানিয়েছেন যে তল্লাশি শেষ হওয়ার পরেই আরও বিশদে বিষয়টি জানানো হবে।

এর আগে, ২০২২ সালের মার্চ মাসে, আয়কর বিভাগ কর ফাঁকির অভিযোগে রিয়েল এস্টেট গ্রুপের প্রাঙ্গণে মুম্বই সহ একাধিক শহরে তল্লাশি চালিয়েছিল।

হিরানন্দানি গ্রুপ ১৯৭৮ সালে নিরঞ্জন হিরানন্দানি এবং তার ভাই সুরেন্দ্রের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তবে ভাইয়েরা সম্প্রতি আলাদা হয়ে গেছে এবং মুম্বই মেট্রোপলিটন অঞ্চলে (এমএমআর) গ্রুপের দ্বারা গৃহীত কিছু রিয়েলটি প্রকল্প ভাগ করে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বাড়িতেও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালায়। কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো (সিবিআই) কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বরাত দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের বাড়ি সহ ৩০টিরও বেশি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।

আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কিরু হাইড্রো ইলেকট্রিক পাওয়ার প্রজেক্টের (এইচইপি) ২,২০০ কোটি টাকার সিভিল ওয়ার্কস দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।

২০১৮ সালের ২৩ অগাস্ট থেকে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলানো সত্যপাল মালিকের দাবি, কিশতওয়ার জেলার চেনাব নদীর উপর ৬২৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কিরু প্রকল্প সংক্রান্ত দুটি ফাইল ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য তাঁকে ৩০০ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।

চলমান তদন্তে গত মাসে দিল্লি ও জম্মু ও কাশ্মীরের প্রায় আটটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সিবিআই নগদ ছাড়াও ডিজিটাল ডিভাইস, কম্পিউটার, সম্পত্তির নথি এবং আপত্তিজনক নথি উদ্ধার করেছিল।

সিবিআইয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত রেফারেন্সের ভিত্তিতে তৎকালীন চেয়ারম্যান, এমডি এবং একটি বেসরকারি সংস্থা সিভিপিপিএল-এর ডিরেক্টর এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

অভিযোগ, কিরু জলবিদ্যুৎ প্রকল্প সংক্রান্ত সিভিল ওয়ার্কস অ্যাওয়ার্ডে ই-টেন্ডার সংক্রান্ত নির্দেশিকা মানা হয়নি।