Pathashree Scheme 3: বিয়ে হচ্ছিল না এলাকার ছেলেদের! ঘটকালির পথ সুগম করলেন বিধায়ক, ২ কোটি টাকা দিলেন ‘দিদি’

এলাকার রাস্তা এতই খারাপ যে সেখানকার যুবকদের হাতে মেয়েকে তুলে দিতে চাইছে না কোনও পরিবার। এমনই অভিযোগ উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার কনিয়াড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ধুলনি গ্রামে। কয়েকদিন আগেই সেখানে ‘দিদির দূত’ হিসেবে সেখানে গিয়েছিলেন বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। সেই সময় বিধায়ককে ঘিরে ধরে স্থানীয়রা রাস্তার বেহাল দশা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার সেই রাস্তাই তৈরি করে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। শনিবার সেই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। রাজ্য সরকার এই রাস্তা তৈরির জন্যে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে বলে জানান বিধায়ক। (আরও পড়ুন: আইপ্যাক কর্মী সেজে ‘পকেট টাকা’ হল হুমায়ুন কবীরের, মন্ত্রী করতে নেওয়া হল ঘুষ!)

এর আগে বিধায়কের কাছে গ্রামবাসীর অভিযোগ ছিল, গ্রামের ৬ কিলোমিটার রাস্তার এতই বাজে অবস্থা যে তা দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। এমনকী গ্রামে ছেলে দেখতে আসা পাত্রীপক্ষ রাস্তার বেহাল দশা দেখে বিয়েতে ‘না’ করে দেন। স্থানীয়দের অভিযোগ শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি জানিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। পরে মমা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেন প্রশাসনকে। আর লোকসভা ভোটের মুখে সেই রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হল ধুলনি গ্রামে। শনিবার সেই প্রকল্পের শিলান্যাস করতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, ‘এবার এলাকার যুবকদের বিয়ে করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই।’ যা শুনে এলাকার বাসিন্দারা হাসিতে ফেটে পড়েন। পাশাপাশি নতুন রাস্তা তৈরি হওয়ায় মনে স্বস্তি পেয়েছেন এলাকাবাসী।

প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘দিদির দূত’ হয়ে এসে রাস্তা নিয়ে নালিশ শুনেছিলেন বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। অভিযোগ ছিল, একটু বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তা দিয়ে হাঁটাচলা করা যায় না, গাড়ি চালানোও খুব কঠিন হয়ে পড়ে। অনেকে দাবি করেন, রাস্তার জন্যেই গ্রামের বিবাহযোগ্য যুবকদের বিয়ে হচ্ছে না। অন্য জায়গা থেকে পাত্রীপক্ষ এসে রাস্তার বেহাল দশা দেখে ফিরে যাচ্ছেন। এরপর সেই অভিযোগ শুনে রাস্তার বেহাল পরিস্থিতি নিজেই খতিয়ে দেখেন বিশ্বজিৎ দাস। পরে সেই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীরও কানে তুলেছিলেন তিনি। এই আবহে রাজ্য সরকার এই রাস্তা তৈরির জন্যে ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

জানা গিয়েছে, ধুলনি গ্রামে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে নতুন করে। এই রাস্তা পুরোপুরি তৈরি হতে প্রায় দেড় মাস সময় লাগবে বলে জানান বিশ্বজিৎ দাস। বিধায়কের কথায়, ‘এর আগে এলাকার ছেলেরা এসে অভিযোগ করেছিলেন যে রাস্তার জন্যে তাদের বিয়ে হচ্ছে না। এবার আর তাদের বিয়েতে কোনও বাধা থাকল না।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পথশ্রী ৩ প্রকল্পের ঘোষণা করা হয় রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে এই প্রকল্পের আওতায়। মোট বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি টাকা। রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রথম পর্যায়ে প্রায় ৩৫০০ কোটি খরচ হতে পারে। এরপর ধাপে ধাপে পথশ্রী ৩ প্রকল্পে টাকা খরচ করা হবে। মূলত গ্রামীণ এলাকার রাস্তার উন্নতিতে এই উদ্যোগ।