Kaustav Bagchi leaves Congress: কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ বাগচী, ‘বিকল্প রাজনীতির’ পথিক এবার কোন পথে?

গতবছরের শেষদিনে বাংলার বিভিন্ন জয়গায় ‘বিকল্প রাজনীতি’ নিয়ে পোস্টার পড়েছিল। পরে কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী সেই একই শব্দবন্ধ প্রয়োগ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন। সেই সময় থেকেই তাঁর দল ছাড়ার জল্পনা বাড়তে শুরু করেছিল। এরই মাঝে একাধিকবার কংগ্রেসকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগে রাহুল গান্ধীকেও ‘ন্যায় যাত্রা’ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন কৌস্তভ। এই সবের মাঝেই আজ কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ বাগচী। কৌস্তভ বাগচীর দাবি, কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে রাজ্য তৃণমূলই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। প্রদেশ কংগ্রেসের কোনও গুরুত্বই নেই। সেই কারণেই দলত্যাগ বলে দাবি করেছেন কৌস্তভ বাগচী। এই মর্মে হাইকমান্ডকে চিঠি লেখেন কৌস্তভ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকেও তিনি চিঠি লেখেন। (আরও পড়ুন: ক্রস ভোটিংয়ে BJP-র ঝুলিতে ‘অতিরিক্ত’ ২ আসন, রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল NDA?)

আরও পড়ুন: হিমাচলে রাজ্যসভার ভোটে হয় ‘টাই’, তারপরে BJP-র কাছে কীভাবে হারল কংগ্রেস?

এর আগে গ্রুপ ডি চাকরিপ্রার্থীদের মিছিলে কৌস্তভ এবং শুভেন্দুকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল গতবছর সেপ্টেম্বরে। সেই সময় কৌস্তভকে প্রশংসায় ভরিয়েছিলেন শুভেন্দু। তখন থেকেই কৌস্তভের দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়েছিল। পরে দুর্গাপুজোর সময় পানিহাটিতে বিজেপি নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির দুর্গাপুজোয় কৌস্তভ বাগচীর সঙ্গে ফের দেখা গিয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। এই আবহে কৌস্তভ এবার বিজেপিমুখো হন কি না, সেদিকেই নজর রয়েছে সবার।

এর আগে ইন্ডিয়া জোটে কংগ্রেস এবং তৃণমূল একমঞ্চে আসার বিষয়টিকে মেনে নিতে পারেননি কৌস্তভ। এরপর গতবছর ১৮ অগস্ট ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি তিনি। অভিযোগ ওঠে ওই দিন সমর্থকদের নিয়ে গিয়ে মহাজাতি সদনে গোলমাল পাকান তিনি। সেদিনই তাঁকে দলীয় মুখপাত্রের তালিকা থেকে বাদ দেয় কংগ্রেস। তবে তার পরেও একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গিয়েছেন কৌস্তভ। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাত না করা পর্যন্ত কৌস্তভ ন্যাড়া থাকার প্রতিজ্ঞা করেছেন। তবে সেই মমতাকে সঙ্গে নিয়েই কেন্দ্রে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছিল কংগ্রেস।

এরই মাঝে বাংলায় রাহুলের ন্যায় যাত্রা চলাকালীনই কৌস্তভ হাইকমান্ডকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, রাজ্যে চিটফান্ডে প্রতারিত, ডিএ ও নিয়োগ থেকে বঞ্চিত জনতার জন্য ন্যায় দাবি করা উচিত কংগ্রেস নেতাদের। সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে কৌস্তভ লিখেছিলেন, ‘রাহুল গান্ধী, জয়রাম রমেশজি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের অপশাসন ও দুর্নীতিতে রাজ্যবাসী বীতশ্রদ্ধ। যোগ্য চাকরিপ্রার্থী, ডিএ আন্দোলকারী, চিটফান্ডে প্রতারিতদের ন্যায়ের দাবিতে আপনাদের মুখ থেকে কিছু শোনার অপেক্ষায় মুখিয়ে আছি।’ আর এই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর আজ অবশেষে দল ছাড়লেন কৌস্তভ।