‘চৌর্য সাম্রাজ্য,’ভোটের লড়াইয়ে নামার আগেই ‘শত্রু’ চিহ্নিত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

বিচারপতি পদ ছেড়ে এবার ভোটের লড়াইয়ে নামতে চলে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রবিবার এক বেসরকারি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছে তিনি।  তিনি এও জানিয়েছেন তার এই রাজনীতিতে আসার প্রধান কারণ হল শাসকদল তৃণমূল। শাসকদলই তাঁকে বাধ্য করেছে রাজনীতিতে আসতে। আলোচনাতে তিনি তৃণমূল জামানাকে ‘চৌর্য সাম্রাজ্যে’ বলে কটাক্ষ করেন।

কেন শাসকদলের জন্য রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার ব্যাখ্যা করে বিচারপতি বলেন, ‘আমাকে যে বৃহত্তর ক্ষেত্রে যেতে হচ্ছে। তার জন্য আমি আমাদের ক্ষমতাসীন দলকে অভিনন্দন জানাব। আমি যখনই কোনও ন্যায় বিচার করতে গিয়েছি, যেখানে ন্যায্যতা থাকবে, তা যখনই তাদের পছন্দ হয়নি, তাঁদের বিভিন্ন মুখপাত্র বিচারপতির উদ্দেশে, আদালতের উদ্দেশে অত্যন্ত অপমানজনক মন্তব্য করেছেন, ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেছেন। আমি খুব সিরিয়াসলি নিইনি সেগুলো। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাও নিইনি। যদিও ব্যবস্থা নেওয়ার অবকাশও ছিল।’

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় সাক্ষাৎকারে আরও বলেন,’আমি জানতাম, আমি কী করতে চলেছি। সেটা আইন অনুযায়ী হচ্ছে কি না। তাই এই সব রঙ্গ-ব্যঙ্গ অপমান, বারে বারেই ওই দলের (তৃণমূল) তরফে বলা হয়েছে, সামনে মাঠে আসুন, এসে লড়াই করুন। আমি ভেবে দেখলাম, তাঁরা যখন ডেকেইছেন এত করে, এত ধরনের ব্যঙ্গ এবং অপমানজনক কথা বলেছেন, তাহলে তাঁদের ইচ্ছেটাই পূর্ণ হওয়া উচিত। তাই একপ্রকার তাঁদের এই অপমানজনক কথাবার্তা এবং পাশাপাশি যে আহ্বান, মাঠে এসে বলুন, সেই জন্যই পদ ছেড়ে চলে আসার সিদ্ধান্ত।’

নিয়োগ দুর্নীতি থেকে একাধিক মামলায় তাঁর রায়ে বিদ্ধ হয়েছে শাসকদল। সেই শাসকদলকে কটাক্ষ করেও ছাড়নে বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘বিচারপতি হিসেবে এখন যে মামলা আমি শুনি, তাতে বিশেষ কিছু করার নেই। বহু দফতরে বহুরকমের দুর্নীতির উদঘাটন হয়নি। হলে বোঝা যাবে, কী দুর্নীতির রাজ্যে আমরা বাস করছি। ইতিহাসে মৌর্য সাম্রাজ্যের কথা পড়েছি, এখন আমরা চৌর্য সাম্রাজ্য দেখছি চোখের সামনে। ‘

রাজনীতিতে আসার যোগ দেওয়ার কথা বললেও, কোন দলে তিনি যোগ দেবেন তা জানানি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তেমনটা শোনা যাচ্ছে চারপাশে। তমলুক থেকে তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।