Transgender Judge Arrested: বিয়ের জন্য চাপ? আত্মহত্য়া যুবকের, গ্রেফতার অসমের রূপান্তরকামী বিচারপতি

বিশ্বকল্যাণ পুরকায়স্থ

অসমের প্রথম রূপান্তরকামী বিচারক স্বাতী বিধান বরুয়াকে (৩২)। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

শুক্রবার সকালে গুয়াহাটির পান্ডু এলাকায় নিজের বাড়ি থেকে মনসুর আলম নামে বছর কুড়ির ওই যুবককে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়৷ পরে তাঁর পরিবারের অভিযোগ, বড়ুয়ার মানসিক অত্যাচারের কারণেই তিনি এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য় হয়েছেন। 

শুক্রবার গুয়াহাটির জালুকবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবারের সদস্যরা।

মানুসরের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তিনি স্বাতীর সরকারি বাসভবনে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ করতেন এবং সেই সময় তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সূত্রের খবর,স্বাতী মনসুরকে বলেছিলেন যে তাকে বিয়ে করতে হবে। সে সেই দাবি অস্বীকার করলে তাকে হুমকি দিতে শুরু করেন স্বাতী। অভিযোগ এমনটাই। 

পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছরের ২৯ মে মনসুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন স্বাতী। মনসুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬(২) (এফ)/৪২০, ৩৮৬, ৩২৫, ৪৫০, ৩৫৪ ডি, ৫০৬, ৫০৯, ১২০বি এবং ২০০০ সালের আইটি অ্যাক্ট ২০০০ এর ৬৭ ধারা, ট্রান্সজেন্ডার পার্সনস (প্রোটেকশন অফ রাইটস) অ্যাক্ট, ২০১৯-এর ১৮ (ডি) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মনসুরের পরিবারের সদস্যরা জানান, এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পরে স্থানীয় আদালত তাকে জামিন দিলেও স্বাতী তার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।

তিনি তার হুমকিকে ভয় পেতেন কারণ তিনি একটি শক্তিশালী পদে ( বিচারক) অধিষ্ঠিত। এসব বন্ধ করার জন্য মনসুর তাকে একাধিকবার অনুরোধ করেন। এই চাপ সামলাতে না পেরে অবশেষে আত্মহত্যা করেন তিনি। এটা আত্মহত্যা নয়, খুন,” শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন পরিবারের এক সদস্য।

জালুকবাড়ি থানা পুলিশ মনসুরের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এলজিবিটিকিউ+ কর্মী স্বাতী ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায়ের অধিকারের পক্ষে ছিলেন। ২০১২ সালে, তিনি লিঙ্গ পরিবর্তন নিয়ে পরিবারের বিরোধিতা করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন, যা তাকে লাইমলাইটে এনে দেয়। ২০১৮ সালে তিনি লোক আদালতের বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। আরও ১৯ জন বিচারপতির সঙ্গে গুয়াহাটিতে লোকআদালতের অধিবেশনে তাঁর অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এদিকে বিচারপতিকে গ্রেফতারের ঘটনাকে ঘিরে বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।