মাসে ১২০ ঘণ্টা কাজ করতাম ফেসবুকের শুরুর দিকে, স্টার্টআপ সহজ না, বললেন শীর্ষকর্তা

সিনেমার মতো এতটাও সহজ নয় স্টার্টআপ কোম্পানি দাঁড় করানো। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের একগুচ্ছ ত্যাগের উপর ভিত্তি করে শক্তিশালী হয়ে এক-একটি স্টার্টআপ। ফেসবুকের সঙ্গে কয়েকদিন কাজ করে এমনটাই মনে হয়েছে মেটার চিফ টেকনোলজি অফিসার অ্যান্ড্রু বসওয়ার্থ-র। মার্ক জুকারবার্গের সাথে কাজ করার সময় ফেসবুকে তাঁর প্রথম দিনগুলি কেমন ছিল তা শেয়ার করেছেন এদিন। লেনির পডকাস্টের একটি আলোচনায়, অ্যান্ড্রু বসওয়ার্থ প্রকাশ করেছেন যে কোম্পানিটি তৈরি করতে ঠিক কতটা ত্যাগ এবং উৎসর্গের প্রয়োজন হয়েছিল। তবে, ফেসবুকের কর্মীদের মধ্যে অসাধারণ বন্ধুত্ব সত্যিই প্রশংসনীয়। সারাদিন অফিসে বসে কাজ করার সময়, তাঁরা নিজেদের টিফিনও ভাগ করে খেয়েছিলেন।

  • ঠিক কতটা পরিশ্রম করতে হয় ফেসবুকের কর্মীদের

তিনি আরও বলেছেন যে সেই সময়ে ফেসবুকের বেশিরভাগ কর্মচারী প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১২০ ঘন্টা করে কাজ করেছিলেন। সারাদিনে কেউই প্রায় ঘুমাতেন না। কারণ তারা ন্যূনতম ঘুমে বেঁচে ছিলেন। অ্যান্ড্রুর মতে, একটি স্টার্টআপে কাজ করার বিষয়ে রোমান্টিক সাফল্যের গল্পগুলি সবই ভুয়ো। কারণ মানুষ এই ধরনের চাকরির জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন, তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা বড্ড কঠিন। তিনি আরও ভাগ করেছেন যে কীভাবে গত ২০ বছর ধরে তিনি সমাজ থেকে সরে গিয়ে, জীবনে বিনোদনের যেকোনও দিক থেকে পিছিয়ে এসে শুধু কাজ করে গিয়েছেন। যদিও মার্ক জুকারবার্গের জন্য এটি আরও কঠিন ছিল বলে মনে হয়েছে মেটা সিটিওর।

মেটা কর্মকর্তার কথায়, সিনেমায় সেই জিনিসগুলি সম্পর্কে বলা হয় না। সেখানে শুধু পজেটিভ দিকটাই দেখানো হয়। নিজের স্টার্টআপ দাঁড় করানোর জন্য অ্যান্ড্রু বসওয়ার্থকে সাহায্য করার জন্য কোনও বিশেষজ্ঞও ছিল না, তিনি এটি নিজের মতো করে পরিচালনা করেছেন, অনেকটা ওই ব্যক্তিগত গাড়ির মতো। তিনি আরও বলেছিলেন যে স্টার্টআপ পথ সবার জন্য সাফল্যের গ্যারান্টি দেয় না কারণ উৎসাহ সত্ত্বেও, এই যাত্রার জন্য অনেক ত্যাগের প্রয়োজন। ‘অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা ঠিক একই কাজ করছেন, হয়ত আরও অনেক বেশি কঠোর পরিশ্রমও করে চলেছেন, অত্যন্ত বুদ্ধিমানও, সব মিলিয়ে হয়ত আরও অনেক ভাল করার ক্ষমতা রাখেন। তবুও সেইভাবে সফলতা পাননি। এর কারণ কিন্তু একটাই। আসলে যেকোনও স্টার্টআপ সবসময় বড় আত্মত্যাগ চায়।’ এমনটাই দাবি করেছেন অ্যান্ড্রু বসওয়ার্থ।