BJP MLA Amarnath Sakha: ‘ভোটের ফলের পরই তৃণমূলের ‘ট্রিটমেন্ট’ হবে!’ ফের স্বমহিমায় ওন্দার বিজেপি বিধায়ক

ভোট ঘোষণা হতেই শুরু কুকথা আর হুঁশিয়ার জোয়ার। ভোটের পর তৃণমূলের ‘ট্রিটমেন্ট’ শুরু করার হুঁশিয়ারি দিলেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক। তৃণমূল এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করে বলেছে, ‘এটা ওদের সংস্কৃতি’।

রবিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর লোকসভার সানবাঁধা তমালতলায় দলীয় প্রার্থীর প্রচারে এক পথসভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বিজেপি বিধায়ক অমরনাথ শাখা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভোটের পর তৃণমূলের ‘ট্রিটমেন্ট’ শুরু হবে।

তিনি বলেন,’২০২৪-এর লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর আমরা তৃণমূলের ট্রিটমেন্ট শুরু করব। যে যা টাকা চুরি করেছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়েছে, তাদেরকে আমরা ছেড়ে কথা বলব না।’

আরও পড়ুন। বহরমপুরে কবে প্রচারে ইউসুফ পাঠান? জানা গেল দিন ক্ষণ

ওন্দার বিজেপি বিধায়কের এই মন্তব্যের নিন্দা করেছেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘তিনি (অমরনাথ শাখা) বিধানসভার সদস্য, একজন জনপ্রতিনিধি। তাঁর মুখে এই ধরনের হীনরুচির ভাষাতে প্রকাশ পাচ্ছে ওঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা।’

এ প্রসঙ্গে তিনি নাম না করে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর দিকেও আঙুল তোলেন। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে বিজেপি প্রার্থী জয়পুরে বলেছেন, তৃণমূলীদের চোখ উপড়ে নেব, হাত পা কেটে দেব। বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী যেখানে যাচ্ছেন, সেখানে ওঁর হয়ে ভোট প্রচারে পাঁচটা লোকও দেখা যাচ্ছে না। কর্মীদের থেকে নিরাপত্তরক্ষী বেশি। লোকে হাসছে। সেকারণেই ওরা ভয়ে-আতঙ্কে মুখের ভাষা খারাপ করছে।’

আরও পড়ুন। নতুন সরকারের জন্য রোডম্যাপ ধরে কাজ করুন, মন্ত্রীদের নির্দেশ মোদীর: Report

তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও অমরনাথ শাখা এই ধরনের হুমকির সুরে মন্তব্য করেছেন। দলীয় কর্মীদের বলেন, ‘কেউ আপনাকে একটা থাপ্পর আপনিও চুপ করে বসে না থেকে এমন একটা থাপ্পর মারবেন যাতে একদলা মাংস গাল থেকে উঠে আসে।

তিনি অবশ্য একে হুঁশিয়ারি নয় বলেই জানিয়েছেন। এই মন্তব্য প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে বিধায়ক বলেন,’ট্রিটমেন্ট বলতে যারা চুরি ডাকাতি করেছে। লাখ লাখ মানুষের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই করেছে। পঞ্চায়েতের টাকা লুট করছে। ১০০ দিনের কাজে কাজ না করিয়ে টাকা তুলেছে, সেই টাকাকে উদ্ধার করতে আমরা নামব। বাস্তব কথা তুলে ধরেছি। এটা হুঁশিয়ারির নয়।’

আরও পড়ুন। ভোটের আগে কোন এলাকার অবস্থা কেমন? থানাভিত্তিক রিপোর্ট চাইল নির্বাচন কমিশন