WB Quota Central Force Jobs Update: কেন্দ্রীয় বাহিনীতে বঙ্গ কোটার ৫০০০ জওয়ানের চাকরি যাবে? শোরগোল বিজ্ঞপ্তির জেরে

সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, সিআইএসএফ এবং সিআরপিএফ একটি যৌথ বিজ্ঞপ্তি জারি করে ডোমিসাইল এবং জাতিগত সার্টিফিকেটের ‘ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন’-এর নির্দেশ দিয়েছে। এর জেরেই এবার বঙ্গ কোটায় কেন্দ্রীয় বাহিনীতে চাকরি পাওয়া পাঁচ হাজার জওয়ানের চাকরি প্রশ্নের মুখে। অভিযোগ, বাংলার কোটার চাকরি বাগিয়ে নিতে এই জওয়ানরা ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ করা চাকরি গিয়েছে বিহার, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দাদের কাছে। যা নিয়ে সাম্প্রতিককালে বাংলা পক্ষ আন্দোলনও করেছিল। এই আবহে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তিকে নিজেদের বড় জয় হিসেবে দেখছে সংগঠনটি। এদিকে সত্যি যদি জাতিগত এবং ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জালিয়াতির মাধ্যমে ভিনরাজ্যের কেউ বাংলার কোটায় চাকরি পেয়ে থাকেন, তাহলে তার চাকরি বাতিল করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই আবহে বাংলার চাকরিপ্রার্থীরা সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারবেন। (আরও পড়ুন: একই কাজের জন্যে অযোগ্য ঘোষিত হয়েছিলেন ইন্দিরা, মোদীর নামে কমিশনে নালিশ তৃণমূলের)

আরও পড়ুন: ২১-এ মিলিয়েছিলেন অঙ্ক, সেই PK ২৪-এর ভোটে ‘পদ্মের চমক’ দেখছেন বাংলায়

রিপোর্ট অনুযায়ী, ডোমিসাইল এবং জাতিগত সার্টিফিকেট জালিয়াতি সংক্রান্ত অভিযোগ উঠতেই তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদক্ষেপও করা হয় কেন্দ্রের তরফ থেকে। এই সংক্রান্ত মামলাও হয় আদালতে। বাংলা পক্ষের কৌশিক মাইতির তরফ থেকে সেই মামলার আবেদন করা হয়েছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এর তদন্তের নির্দেশ দেয়। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় আধাসেনায় SSC-GD -2022-এ চাকরি পাওয়া ৩৬২৭ এবং SSC-GD-2021-এ চাকরি পাওয়া ১৮৭৪ জনের চাকরি প্রশ্নের মুখে। (আরও পড়ুন: কারও পৌষ মাস, কারও সর্বনাশ! ১৭% বেতন বেড়েছে কর্মীদের, এরপরই LIC-র শেয়ার দরে পতন)

আরও পড়ুন: লক্ষ্য ‘মেট্রোযোগ’, ধর্মতলার বাস টার্মিনাল যাবে ‘আন্ডারগ্রাইন্ড’,সমীক্ষায় RITES?

অভিযোগ, ব্যারাকপুর মহকুমা থেকে সবথেকে বেশি সংখ্যা জালি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চাকরি হাতানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীতে। এমনিতেই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অবাঙালিদের সংখ্যা অনেক। এই আবহে জালি সার্টিফিকেট জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এখানকার। এমনকী একজন কর্মরত জওয়ানও এই কাজের দালালির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়া রাজ্য সরকারের এক কর্মী এই দালালচক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হন।

আরও পড়ুন: বকেয়ার আশায় ৮ বছরের লড়াই, বাংলার সরকারি কর্মীদের কতটা ‘লাভ’ ঝুলে ডিএ মামলায়?

এই বিষয়ে বাংলা পক্ষর নেতা কৌশিক মাইতি বলেন, ‘অন্য কোনও দল লড়েনি। লড়ছে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষর তরফ থেকে আদালতে মামলাও আমিই করেছিলাম। বিএসএফ ক্যাম্প ঘেরাও, এসডিও অফিস ঘেরাও, এসপি অফিস ঘেরাও, এসএসসির আঞ্চলিক অফিস, নিজাম প্যালেসে অভিযান, সিআরপিএফ ভবন অভিযান করেছিলা আমরাই। আমরা মারও খেয়েছি এসব করতে গিয়ে।’ পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশনের বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কৌশিক পোস্ট করে লেখেন, ‘বাঙালিকে বঞ্চিত করে জালি ডোমিসাইল ও জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দিয়ে আধাসেনায় চাকরি পাওয়া বিহার-ইউপির ক্রিমিনালদের জেলের ভিতর দেখতে চাই। কারণ এটা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন। ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করে তার থেকে বাংলার যোগ্য ছেলেমেয়েদের নিতে হবে এই শূন্য পদগুলোয়।’