Bees death:‘হাজার হাজার মৌমাছি হত্যা করেছে আধিকারিক’, শাস্তির দাবিতে থানা ঘেরাও

হাজার হাজার মৃতদেহ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ। দাবি একটাই যার জন্য এতগুলি মৃত্যু, সেই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে। আসলে মৃতদেহগুলি কোনও মানুষ বা পশুর দেহ নয়, সেগুলি হল মরা মৌমাছি। সেগুলি নিয়েই বহরমপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন মৌপালকেরা। এরকম নজিরবিহীন বিক্ষোভের ঘটনায় হতবাক স্থানীয়রা। মূলত আরটিও অফিসারের শাস্তির দাবিতে বহরমপুর থানা ঘেরাও করে তারা বিক্ষোভ করেন মৌ পালকেরা।

আরও পড়ুনঃ স্কুলের শিমুল গাছের মৌচাকে বাজপাখির হামলা, জখম ১০, বন্ধ রাখা হল স্কুল

জানা গিয়েছে, মৌমাছিগুলি নিয়ে ৪টি গাড়িতে করে মৌ পালকেরা লালগোলা থেকে উত্তর দিনাজপুর যাচ্ছিলেন। সেই সময় রঘুনাথগঞ্জে তাদের গাড়ি আটকে দেন জঙ্গিপুরের আরটিও অফিসার। তখন মৌ পালকেরা বারবার দাবি করেন, তাদের গাড়িতে মৌমাছি রয়েছে। আটকে রাখলে সেগুলির মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু, মৌ পালকদের আর্জিতে আমল না দিয়ে আরটিও সেই গাড়িগুলি দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। তারফলে দেড়শো বাক্সে থাকা কয়েক হাজার মৌমাছি মারা যায়। এই ঘটনার পরে ক্ষোভে ফেটে ওঠেন মৌ পালকের। 

তাদের বক্তব্য, এই সময় আম ,লিচু, জাম প্রভৃতি গাছে মুকুল ধরে। আর তা থেকে প্রচুর মধু পাওয়া যায়। মধুর মরশুমে এত পরিমাণ মৌমাছি মারা যাওয়ার ফলে তারা ব্যাপকভাবে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তাদের বক্তব্য, মধু বিক্রি করেই তাদের জীবিকা নির্বাহ হয়, সংসার চলে। তবে একসঙ্গে এতগুলি মৌমাছি মারা যাওয়ার ফলে তাদের পক্ষে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে যাবে। এভাবে মৌমাছির গাড়ি আটকে রাখা উচিত হয়নি। 

এই অবস্থায় আরটিও অফিসারের কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন মৌ পালকেরা। তাদের বক্তব্য, আরটি অফিসারের জন্য তাদের এত বড় ক্ষতি হয়েছে। তাঁর কাছে আবেদন করা সত্ত্বেও তিনি সেই আবেদনে কর্ণপাত করেননি। তাঁর জন্য এতগুলি মৌমাছির মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় আরটিও অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করলে আগামী দিনে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলেই হুঁশিয়ার দিয়েছেন।

মৌ পালকেরা জানান, মৌমাছির মাধ্যমে তারা শুধু জীবিকা নির্বাহই করেন না, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে মৌমাছির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু শুধুমাত্র টাকা আদায়ের জন্য আরটিও গাড়ি আটকে দেওয়ায় হাজার হাজার প্রাণ শেষ হয়ে গেল। তাই বিচারের দাবি জানিয়েছেন মৌ পালকেরা।