Indian student death: আমেরিকায় ভারতীয় ছাত্রকে হত্যার ২২ বছর পর বিষ ইঞ্জেকশন দিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হল আততায়ীর

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমায় একজন ভারতীয় নাগরিকসহ দু’জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ২২ বছর মিলল বিচার। এই হত্যার দায়ে ৪১ বছর বয়সি এক ব্যক্তিকে আগেই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আমেরিকার আদালত। অবশেষে বৃহস্পতিবার প্রাণঘাতী ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হল। ওই ব্যক্তির নাম  মাইকেল ডিওয়েন স্মিথ।

আরও পড়ুনঃ ফের আমেরিকায় ভারতীয় ছাত্রের মৃত্যু, মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছিল বাঙালি শিল্পীরও

জানা গিয়েছে, ভারতীয় ছাত্র শরথ পুল্লুর এবং ৪০ বছর বয়সি জ্যানেট মিলার মুরকে ২২ আগে ২০০২ সালে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ভারতীয় ওই যুবক পড়াশোনার জন্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন মেধাবী পড়ুয়া। পাশাপাশি একটি দোকানে স্টোর ক্লার্ক হিসাবেও কাজ করতেন। ওকলাহোমার অ্যাটর্নি জেনারেল জেন্টনার ড্রামন্ড বৃহস্পতিবার স্মিথের মৃত্যুদন্ড কার্যকর করার বিষয়ে একটি বিবৃতি জারি করেছেন। তিনি তাতে বলেছেন, ‘আমি প্রার্থনা করি যে জ্যানেট মিলার মুর এবং শরথ পুল্লুর পরিবারের জন্য কিছুটা শান্তি বয়ে আনুক। মাইকেল স্মিথের হাতে তাঁরা নিহত হয়ে ছিলেন। এটা একেবারেই ঠিক হয়নি।’ 

শরথ পুল্লুর চরিত্রের প্রশংসা করে তিনি বলেন,‘ পুল্লুর ছিলেন একজন ভালো মানুষ, একজন বুদ্ধিমান যুবক। পড়াশোনায় মেধাবী ছিলেন। তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু, অকালে তাঁর প্রাণ ঝরে পড়ে।’ এই হত্যাকাণ্ডকে অর্থহীন বলে দাবি করেছেন তিনি। অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, ‘তাদের হত্যা করা হয়েছিল কারণ তারা ভুল সময়ে ভুল জায়গায় ছিলেন।’

শরথ পুল্লুর পরিবার জানিয়েছে, যে শরথ তাদের পরিবারের মধ্যমণি ছিলেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারের প্রতিটি মানুষ গভীরভাবে শোকাহত হয়েছিলেন। বহুদিন ধরে শোকে পাথর হয়েছিলেন ওই পরিবারের মানুষজন। তাদের বক্তব্য, শরথ চিরকাল তাদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। বিচার হওয়ায় তাঁরা খুশি। 

জানা গিয়েছে, ম্যাকঅ্যালেস্টারের ওকলাহোমা স্টেট সংশোধনাগারে  বৃহস্পতিবার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল স্মিথের। শরথের ভাই হরিশ পুল্লুর জানান, শরথ আমেরিকায় চলে যাওয়ার পর তারা প্রতিদিন একটি বুথে তাঁর ফোনের জন্য অপেক্ষা করতেন। কিন্তু, তাঁর মৃত্যুর পর সব শেষে হয়ে যায়। এদিকে, স্মিথের দাবি ছিল, তার গ্যাংয়ের সদস্যরা পাশের একটি দোকানে চুরি করেছিল। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি জারি করেছিল শরথ। তাই সে তাঁকে হত্যা করেছিল। তবে পুলিশের দাবি ছিল, এবিষয়ে কিছুই জানতেন, সেই কারণেই হয় এই হত্যা।