Keratin Treatment: চুলে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট কিডনির ক্ষতি করতে পারে? কীভাবে যত্ন নেবেন তাহলে

মহিলাদের সৌন্দর্য চুলের উপর নির্ভর করে। প্রায়শই মহিলারা তাই নিজেদের ত্বক এবং চুলের সৌন্দর্য সম্পর্কে খুব সচেতন। প্রত্যেকেই চুল সোজা, লম্বা এবং সিল্কি চুল চান। অনেক মহিলাই এর জন্য টাকা খরচ করে পার্লারে গিয়ে কিংবা বাড়িতে বসেই চুলে কেরাটিন ট্রিটমেন্ট, হেয়ার স্মুদনিং, স্ট্রেটনিং করেন। আপনিও কি তাঁদের একজন? আপনিও যদি চুল সোজা করতে হেয়ার স্ট্রেইটনিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন, তাহলে সাবধান হন এখনই! কারণ, আপনার চুল সোজা করতে রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার, আপনার স্বাস্থ্যের ব্যপক ক্ষতি করতে পারে। এটি সরাসরি কিডনির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. ডি. এম. এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন। গবেষণা অনুসারে, চুল সোজা করতে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলি স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কখনও কখনও চুল সোজা করা এবং মাঝে মাঝে হেয়ার স্ট্রেইটনিং পণ্য ব্যবহার অবশ্য খুব বেশি ঝুঁকি তৈরি করে না। তবে ঘন ঘন কেমিক্যাল হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে কিডনি সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে। তাই নারীদের এ ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

  • চুল সোজা করার পণ্য কিডনির ঠিক কতটা ক্ষতি করে

চুল সোজা করার ট্রিটমেন্টের সময় ব্যবহৃত পণ্যগুলি ত্বকেরও ক্ষতি করতে পারে। অতএব, চুলের যত্নে সঠিক পণ্য যেমন বাছাই করে নেওয়া জরুরি। ঠিক তেমনই সঠিক পরিমাণে এগুলির ব্যবহার করাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। আপনার যদি ইতিমধ্যেই কোনও ত্বকের অ্যালার্জি থাকে তবে এই ধরনের ট্রিটমেন্ট করার আগে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কারণ, গ্লাইঅক্সিলিক অ্যাসিড কেরাটিন চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। যদিও এটি চুলকে মজবুত করে, তবে এটির অক্সালেট ক্রিস্টাল জমে, এগুলি কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাস করতে পারে।

  • কিডনির সমস্যা থাকলে এই বিষয়গুলো এড়িয়ে চলুন

চিকিৎসকরা বলছেন, কিডনির সমস্যা থাকলে এই কেমিক্যাল হেয়ার স্ট্রেটেনিং প্রোডাক্ট ব্যবহার করা এড়িয়ে চলা উচিত। এই ক্ষতিকারক পণ্যগুলির অতিরিক্ত ব্যবহার কিডনি ফেলের কারণ হতে পারে। কেরাটিন চিকিৎসায় ফর্মালডিহাইড থাকে। এটি চুল, ত্বক এবং চোখের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। এর রাসায়নিক উপাদানগুলি রক্ত ​​​​প্রবাহে শোষিত হয়ে কিডনির ক্ষতি করে।

  • কীভাবে হেয়ার ট্রিটমেন্ট করলে কোনও সমস্যা হবে না

চুলে একবার ট্রিটমেন্ট করানোর পর আবার করার আগে তার মধ্যে কমপক্ষে চার থেকে ছয় মাসের ব্যবধান থাকা উচিত। ট্রিটমেন্টের সময় রাসায়নিকের সঠিক পরিমাণ থাকা জরুরি। এই বিষয়ে আগে আপনার চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন। এছাড়াও যদি সম্ভব হয়, চুলে কোনও অপ্রাকৃতিক প্রক্রিয়া না করে স্বাভাবিক নিয়মে চুলের যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।